রিমান্ড শেষে সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক (ব্যারিস্টার সুমন)কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
- By Jamini Roy --
- 27 October, 2024
হত্যাচেষ্টা মামলায় রিমান্ড শেষে সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক (ব্যারিস্টার সুমন)কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ রবিবার এ নির্দেশ দেন।
এর আগে, পাঁচ দিন রিমান্ডে থাকার পর সায়েদুল হককে আদালতে হাজির করে মিরপুর থানার পুলিশ। একই সঙ্গে তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হালিম আদালতকে জানান, সায়েদুল হক জিজ্ঞাসাবাদে মামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
সায়েদুল হকের পক্ষে জামিন চাওয়া হলেও আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সাবেক সংসদ সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২২ অক্টোবর, সায়েদুল হককে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিল আদালত। তিনি ২১ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের হওয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর, ব্যারিস্টার সুমন তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দেন, “আমি পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই।”
সায়েদুল হক হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হলে তাঁর সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, আমলা, পুলিশ, সাংবাদিকসহ ৭৫ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
হত্যাচেষ্টা মামলার ঘটনায়, যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার সকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সায়েদুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ব্যারিস্টার সায়েদুল হকের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন, কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই হৃদয় জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়, ককটেল বোমা নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়, যিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০ নম্বর হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন।